Get on Google Play

চাকরি প্রর্থীদের সমস্যা, প্রশ্ন, মতামত এবং বিভিন্ন পেশা সর্ম্পকে আলোচনা, অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
#7419
চাকরির ক্ষেত্র যাই হোক না কেন-ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান তার উপযুক্ত ব্যাক্তিকে নির্বাচন করতে কিছু বিষয়ের উপর জোর দিয়ে থাকে । আবেদনকৃতদের মধ্যে থেকে যার বা যাদের ভিতর সে সব দক্ষতা ও বিশেষ গুণাবলী পরিলক্ষিত হয় সব শেষে সে বা তারাই চাকরি নামক সোনার হরিণের দেখা পান ।
দক্ষতা দুই ধরণের : ১. বাহ্যিক ও ২. অভ্যন্তরীণ । যা সহজেই পরিমাণ নির্ণয় করা যায় তাই বাহ্যিক । যেমন – টাইপিং স্পিড , সার্টিফিকেট , কম্পিউটার প্রোগ্রামিং , ভিন্ন ভাষায় সাবলীলতা ইত্যাদি । আর ধৈর্য , সময় জ্ঞান , বিভিন্ন লোকজনের সাথে মেশার ইত্যাদি হলো অভ্যন্তরীণ দক্ষতা । যে ব্যক্তি উভয় দক্ষতার অধিকাারী তার চাকরির খুঁজে খুব বেশি দেন রোদে পুড়তে হবে না । জুতা বার বার ক্ষয়ও হবে না । এতটুকু ভবিষ্যত বাণী করাই যায় । জানা যাক গুরুত্বপূর্ণ ও চাকরির নিশ্য়তা প্রদানকারী তেমন সাতটি দক্ষতা কি কি ?
বিশ্লেষনধর্মী হওয়া : কর্মস্থলে সফলতার সাথে কাজ করার জন্য বিশ্লেষণধর্মী হতে হয় । যেমন : নির্ভুল হিসাব করা , সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা , পরিকল্পনা করা , তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা , সমস্যা সমাধান করা , বাজেট প্রণয়ন করা ইত্যাদি । এই দক্ষতা ও গুনাবলী না থাকলে , আপনি কর্মজীবনে হোঁচট খেতে পারেন । আর যে কোন প্রতিষ্ঠান তার উন্নতি ও গতিশীলতার জন্য প্রার্থীর মাঝে এই দক্ষতা আছে কিনা তা যাচাই করে নেন ।
সুসম্পর্ক বজায় রাখা : দ্বিতীয় যে দক্ষতাটি খুজে তা হলো যোগাযোগের ক্ষমতা । অর্থাৎ সামনের মানুষের কথা কীভাবে শুনছেন , কতটা মনযোগী থাকছেন , কীভাবে মিষছেন , কথা বলছেন । কর্মস্থরের সকল ব্যাক্তি-উচ্চ-নিম্ন পদস্থ , সগযোগী , মক্কেল , খদ্দের সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিশেষ গুনাবলী । অর্থাৎ মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রে যোগাযোগ দক্ষ হতে হবে । হতে পারে আপনার সাথে কারো মত মিলছে না । আর আপনাকে সেটা ইতিবাচক ভাবে নিতে হবে এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শণ করতে হবে ।
বিশেষ গুণাবলী : সৃজনশীলতা , সাবলীলতা , কর্মস্বার্থে যোগাযোগের কূটকৌশল , কাউন্সিলিং ক্ষমতা , দায়িত্বশীল রেয়অ , দায়িত্বশীল থাকা , সহ্য-ধৈর্য্য , নির্দেশনা প্রদান ক্ষমতা ইত্যাদি বিশেষ গুনাবলীর মাধ্যমে আবেদন প্রার্থীদের আলাদা করা হয় । তুলনামূলক ভাবে যার মাঝে এসব ফুটে উঠে বা যে ফুটিয়ে তুলতে পারে । সে জায়গা করে নেয় ।
নেতৃত্ব গুণ : একটি বিশেষ গুণ যা আপনাকে যোগ্যতার মাপকাঠিতে অন্যদের থেকে আলাদা করে । যারা প্রার্থী বাছাইয়ের্ দায়িত্বে থাকেন তারা এটির প্রতি অনড় থাকেন । কেননা আপনাকে যদি কোন প্রোজেক্টের দায়িত্ব দেয়া হয় । আর তা সামলে নিতে না পারলে , পরিচালনা করতে না পারলে । আপনার ভুরি ভুরি সার্টিফিকেট কোন কাজে আসবে না।
ইতিবাচক মনোভাব : কর্মক্ষেত্রে নানা চাপ , চ্যালেঞ্জ , সংকটময় মুহূর্ত আসতে পারে । এই সময়ে আপনি “আমি পারব” মনোভাব রাখতে পারেন কি না , কাজের পরিপূর্ণতা আনতে বাড়তি চেষ্টা , শ্রম দিতে প্রস্তুত কিনা তা যাচাই করা হয় ।
দলগত কাজের দক্ষতা : দলগত বা টিম হয়ে অন্যদের সাথে মিলেমিশে , বুঝেশুনে কাজ করতে পারদর্শী কিনা সেটাও দেখা হয় । কেননা একটা টিমে নানা ধরণের মানুষ থাকতে পারে । তাই আপনি কতটা সহযোগি , সহনীয় তা পরীক্ষা করা হয় ।
প্রযুক্তি জ্ঞান : বর্তমান সময়ে যে কোন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও টেকন্যিকাল জ্ঞানকে প্রাধান্য দেয় । কেনানা বিভিন্ন ডাটা সংরক্ষণ , বিশ্লেষণ , হিসাব নিকাশ , পরিসংখ্যান , তথ্য আদান প্রদান সহ প্রায় সব কাজ প্রযুক্তির সাহায্যে করা হয় । যেমন : ই-মেইল , নেটওয়ার্কিং ।

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]