Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#7307
২৮ জুলাই ২০২১ পেরুর ৬৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাটি ও মানুষের নেতা পেদ্রো কাস্তিলো। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই দেশের সংবিধান পরিবর্তনের ঘোষণা দেন পেরুর ইতিহাসে প্রথম কৃষক প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে কঠোর হস্তে দুর্নীতি দমন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেন। রাজধানী লিমায় আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্প্যানিশ রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ, লাতিন আমেরিকার ছয় নেতা, বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী। পেরুর ইতিহাসে কাস্তিলোই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যার অভিজাত রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তার চারটি পূর্বপরিচয়- কৃষক, শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী এবং রন্ডোরোস (কৃষি পাহারাদার)। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত পেরুতে স্বায়ত্তশাসিত কৃষক টহল প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের ‘রন্ডোরোস’ বলা হয়। অর্থাৎ তিনি শুধু কৃষকই ছিলেন না, কৃসিজমি পাহারা দেয়ার কাজও করেন। পেদ্রো কাস্তিলো শিক্ষক হিসেবে যে বেতন পেতেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সমপরিমাণ অর্থই সরকারি কোষাগার থেকে গ্রহণ করবেন। ৬ জুন ২০২১ পেরুতে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কাস্তিলোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলায় ফলাফল স্থগিত ছিল। পরে দেশটির ন্যাশনাল ইলেকশন জুরি ভোট বিশ্লেষণ শেষে ৫০ ভাগ ভোট নিশ্চিত হওয়ায় ৭ জুলাই ২০২১ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে। পেরুর গত তিন বছরের ইতিহাসে পঞ্চম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন বামপন্থি এ গণমানুষের নেতা পেদ্রো কাস্তিলো।
প্রেসিডেন্ট হয়েও প্রেসিডেন্ট ভবন ‘হাউজ অব পিজারো’তে থাকবেন না পেদ্রো কাস্তিলো। শুধু পেরুর ২০০ বছরের ইতিহাসেই নয়, ঔপনিবেশিক সময়ের ৩০০ বছরসহ মোট ৫০০ বছরের রীতি ভাঙেন কাস্তিলো। মনস্তাত্বিকভাবে প্রবল উপনিবেশবাদ বিরোধী পেদ্রো কাস্তিলো ভবনটিতে না থেকে সেটিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা দেন। গত ৫০০ বছর ধরেই স্প্যানিশ দখলদার ফ্রান্সিসকো পিজারে গঞ্জালেজের নামানুসারে রাখা হয় এ ভবনটির নাম।

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]