Get on Google Play

অনুপ্রেরণামুলক গল্প, বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী, ইতিবাচক আচার-আচারন ইত্যাদি
#7303
তকী ফয়সাল
প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম
৩৭তম বিসিএস পরীক্ষা


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলাম। বুয়েটের ছাত্রদের মধ্যে গ্র্যাজুয়েশন শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য কিংবা চাকরি নিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আমিও ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষে এসে দোটানায় পড়ে যাই। বিদেশে চলে যাব, নাকি দেশেই থাকব? আমার বড় ভাই আমাকে বোঝালেন, দেশেই অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব। বললেন, বিসিএস দিতে। তার অনুপ্রেরণায় ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। প্রথম পছন্দ ছিল প্রশাসন ক্যাডার।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হওয়ায় গণিত বা বিজ্ঞান বিষয়ে কোনো সমস্যা ছিল না। তাই সাধারণ জ্ঞান ও বাংলা দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। পরে অবশ্য প্রতিটি বিষয়েই প্রস্তুতি নিয়েচি। কয়েকজন বন্ধু মিলে পড়তাম। একে আপরকে পড়ার বিষয়ে সাহায্য করতাম। বন্ধুদের কেউ একটি বিষয় ভালো বুঝলে সবাইকে বুঝিয়ে দিত। বিসিএস ক্যাডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের অভিজ্ঞতা শুনেছি। প্রথম দিকে আমার কাছে এটি বড় চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছিল। তবে প্রতিদিনই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে।
নিয়মিত পড়াশোনা করেছি। সময় ধরে নয়, যতক্ষণ পড়েছি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছি। পড়ার জন্য কোনো বিশেষ সময় বেছে নিইনি। যখন পড়তে ইচ্ছে হতো তখনই পড়তাম। বিসিএস তিনটি পরীক্ষর প্যাকেজ। প্রথমে প্রিলিমিনারি, তারপর লিখিত, সবশেষে ভাইভা। প্রতিটির জন্যই আলাদা আলাদা কৌশল অবলম্বন করেছিলাম। প্রিলিমিনারিতে দুই ঘণ্টায় ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। বিষয়টি খুবই কঠিন। আমি এ ক্ষেত্রে একটি কৌশল অবলম্বন করেছিলাম। প্রথমেই সাধারণ জ্ঞানের উত্তর দিয়েছি। কারণ এ বিষয়ে চিন্তাভাবনার কিছু নেই। তথ্য জানা থাকলে কম সময়েই উত্তর দেওয়া যাবে। যেসব বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে উত্তর দিতে হয়, পরে উত্তর করেছি। যেমন-ইংরেজি, বিজ্ঞান। সবশেষে দিয়েছি গণিত।
প্রিলিমিনারিতে টিকে যাওয়ার পরে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। প্রস্তুতির একটি বড় অংশজুড়ে ছিল কীভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। বাসায় লেখার চর্চা করেছিলাম বলেই সব পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়েরে মধ্যে লেখা শেষ করতে পেরেছিলাম। বানানের দিকে সতর্ক থেকেছি, অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা করিনি। প্রশ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চিত্র, গ্রাফ, পরিসংখ্যান, বিভিন্ন মনীষীর উক্তি, উদ্ধৃতি, সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা বাক্য মার্ক করার জন্য নীল কালি ব্যবহার করেছি। প্রতিটি উত্তরের সঙ্গে নিজস্ব মতামত দিয়েছি, তথ্যের রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেছি বিভিন্ন বই ও পত্রপত্রিকার নাম। আমার মনে হয় এসব কারণেই ভালো নম্বর পেয়েছিলাম।
লিখিত পরীক্ষায় টিকে ভাইভা দিতে গিয়েও কৌশল অবলম্বন করেছিলাম। ভাইভা বোর্ডে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করেছি। যে বিষয়গুলো ভালো জানি, কৌশলে তা সামনে আনার চেষ্টা করেছি। পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। তবে অ্যাডমিন ক্যাডারে প্রথম হব ভাবিনি।

সংগৃহীত:-
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    1 Replies 
    1084 Views
    by tasnima
    0 Replies 
    431 Views
    by bdchakriDesk
    0 Replies 
    889 Views
    by bdchakriDesk
    0 Replies 
    441 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    272 Views
    by raihan

    মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক […]

    প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শতভাগ পাশ ও ৭০% জিপিএ-৫ প্রাপ্তি[…]

    আবশ্যক: জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী[…]

    আটঘর উচ্চ বিদ্যালয়, পোষ্ট: চাঁদপুর, উপজেলা: সালথা[…]