- Wed Oct 14, 2020 2:21 pm#3762
বাঙালি সমাজসেবক ও সংস্কারক
হাজি মোহাম্মদ মহসীন
হাজি মোহাম্মদ মহসীন ১৭৩২ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি শহরে এক সম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃসম্পত্তি এবং পরোলকগত বোনের বিশাল সম্পত্তির অধিকারী হন। বিশাল সম্পত্তির অধিকারী হয়েও তিনি অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। গরীব মেধাবি ছাত্রদের জন্য তিনি মহসীন ট্রাস্ট গঠন করেন। দানশীলতার জন্য তিনি তিনি দানবীর বা বাংলার হাতেম তাই নামে পরিচিত। তিনি ১৮১২ সালে পরলোকগমন করেন।
রাজা রামমোহন রায়
রাজা রামমোহন রায় ১৭৭২ সালে হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষা ও ধর্মীয় সংস্কারক। ১৮২৩ সালে সংবাদপত্র বিধি পাস করা হলে তিনি এর বিরূদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন। ১৮২৮ সালে তিনি ‘ব্রাহ্মসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরনে এবং বিধবাবিবাহ প্রচলনে তিনি জোর প্রচার চালান। সতীদাহ প্রথা প্রসঙ্গে তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘প্রবর্তক ও নিবর্তকের সস্বাদ’ । এ উপলক্ষ্যে সম্রাট তাকে রাজা উপাধি দেন। রাজা রামমোহন রায় ছিলেন পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষপাতী। ১৮৩৩ সালে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: ১৯২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেদিনীপুর জেলার বীর সিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যাসাগর ছিল তার উপাধি। ১৮৪০ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি পান। ১৮৫৬ সালে তিনি বিধববাবিবাহ আইন পাস করেন। ১৮৯১ সালে ২৯ জুলাই বিদ্যাসাগরের মৃত্যু হয়।
নওয়াব আব্দুল লতিফ
নওয়াব আব্দুল লতিফ ১৮২৮ সালের ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলায় মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৮৬৩ সালে কলকাতায় মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রচেষ্টায় কলকাতা মাদ্রাসায় ইংরেজি মাদ্রাসা খোলা হয়। মুসলাম সমাজের প্রতি প্রতি তার অবদানের জন্য সরকার তকে খান বাহাদুর ও নওয়াব উপাধি প্রদান করেন। ১৮৯৩ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সৈয়দ আমীর আলী
সৈয়দ আমীর আলী মুসলমানদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ের জন্য ১৮৭৭ সালে কলকাতায় সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯০৯ সালের লন্ডনে প্রিভিকাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করে। তিনি ভারতীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম এ সম্মানের অধিকারী হন।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী
বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের প্রথম অগ্রদূত লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী। নারীশিক্ষার প্রসার ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম এবং একমাত্র মুসলিম নারী হিসেবে ব্রিটেনের মহারানি ভিক্টোরিয়া কর্তৃক ‘নওয়াব’ উপাধি পান। তার রচিত কাব্যগ্রন্থের নাম রুপজালাল। তিনি ছিলেন মুসলিম নারী জাগরণের কবি।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশের নারীশিক্ষার প্রসারে অবদান রাখেন। ১৯৩২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত।
হাজি মোহাম্মদ মহসীন
হাজি মোহাম্মদ মহসীন ১৭৩২ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি শহরে এক সম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃসম্পত্তি এবং পরোলকগত বোনের বিশাল সম্পত্তির অধিকারী হন। বিশাল সম্পত্তির অধিকারী হয়েও তিনি অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। গরীব মেধাবি ছাত্রদের জন্য তিনি মহসীন ট্রাস্ট গঠন করেন। দানশীলতার জন্য তিনি তিনি দানবীর বা বাংলার হাতেম তাই নামে পরিচিত। তিনি ১৮১২ সালে পরলোকগমন করেন।
রাজা রামমোহন রায়
রাজা রামমোহন রায় ১৭৭২ সালে হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষা ও ধর্মীয় সংস্কারক। ১৮২৩ সালে সংবাদপত্র বিধি পাস করা হলে তিনি এর বিরূদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন। ১৮২৮ সালে তিনি ‘ব্রাহ্মসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরনে এবং বিধবাবিবাহ প্রচলনে তিনি জোর প্রচার চালান। সতীদাহ প্রথা প্রসঙ্গে তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘প্রবর্তক ও নিবর্তকের সস্বাদ’ । এ উপলক্ষ্যে সম্রাট তাকে রাজা উপাধি দেন। রাজা রামমোহন রায় ছিলেন পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষপাতী। ১৮৩৩ সালে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: ১৯২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেদিনীপুর জেলার বীর সিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যাসাগর ছিল তার উপাধি। ১৮৪০ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি পান। ১৮৫৬ সালে তিনি বিধববাবিবাহ আইন পাস করেন। ১৮৯১ সালে ২৯ জুলাই বিদ্যাসাগরের মৃত্যু হয়।
নওয়াব আব্দুল লতিফ
নওয়াব আব্দুল লতিফ ১৮২৮ সালের ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলায় মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৮৬৩ সালে কলকাতায় মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রচেষ্টায় কলকাতা মাদ্রাসায় ইংরেজি মাদ্রাসা খোলা হয়। মুসলাম সমাজের প্রতি প্রতি তার অবদানের জন্য সরকার তকে খান বাহাদুর ও নওয়াব উপাধি প্রদান করেন। ১৮৯৩ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সৈয়দ আমীর আলী
সৈয়দ আমীর আলী মুসলমানদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ের জন্য ১৮৭৭ সালে কলকাতায় সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯০৯ সালের লন্ডনে প্রিভিকাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করে। তিনি ভারতীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম এ সম্মানের অধিকারী হন।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী
বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের প্রথম অগ্রদূত লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী। নারীশিক্ষার প্রসার ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম এবং একমাত্র মুসলিম নারী হিসেবে ব্রিটেনের মহারানি ভিক্টোরিয়া কর্তৃক ‘নওয়াব’ উপাধি পান। তার রচিত কাব্যগ্রন্থের নাম রুপজালাল। তিনি ছিলেন মুসলিম নারী জাগরণের কবি।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশের নারীশিক্ষার প্রসারে অবদান রাখেন। ১৯৩২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত।