Page 1 of 1

বাংলাদেশের স্থলবন্দর সম্পর্কিত নানা তথ্য

Posted: Tue Oct 06, 2020 4:44 pm
by shanta
২০০১ সালে বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪ টি স্থলবন্দর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ টি স্থল বন্দর হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষই বেনাপোল, আখাউড়া, বুড়িমারী, ভোমরা, নকুগাঁও, - এই পাচটি স্থল বন্দর পরিচালনা করে।
বাকি পাঁচটি স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা, সোনা মসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বিবির বাজার, বেসরকারি পোর্ট অপারেটররা চালায়।
স্থলবন্দর ঘোষণা দেওয়া হলেও কোনো কর্যক্রম নেই এমন স্লবন্দর আছে ১৩ টি। এগুলো হলো- তেগামুখ, সোনাহাট, চিলাহাটি, দৌলতগঞ্জ, ধনুয়া, কামালপুর, শেওলা, বিলোনিয়া, রামগড়, বিরল ও বাল্লা।
বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন। বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর হলো যশোরের শার্শায় অবস্থিত বেনাপোল স্থলবন্দর। এটিই একমাত্র স্থলবন্দর যা বাংলাদেশ সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রাধীন।
দিনাজপুরেরহিলি বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দর হলো কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দর। হবিগঞ্জের বাল্লা হলো বাংলাদেশের ২৩ তম ঘোষিত স্থলবন্দর এবং সর্বশেষ তথা ২৪ তম ঘোষিত স্থলবন্দর হলো সিলেটের তামাবিল।
২০১৭ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান পার্বত্য চট্টগ্রামে ভবিষ্যতে আরো চারটি স্থলবন্দর তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষিত ১৩টি স্থলবন্দরচলছে না কেন –
কারণগুলো –
১.এসব স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করার মতো অবকাঠামো অপর্যাপ্ত ও অপ্রতুল।
২.আমদানি -রপ্তানির কাজে সম্পৃক্ত অফিসগুলো স্থাপিত হয়নি।
৩.সীমান্তের ওপরে ভারত ও মিয়ানমার অংশেও অবকাঠামো নির্মিত হয় নি।
৪.রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর নিয়ে আপত্তি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিষদ। স্থলবন্দর হলে স্থানীয় লোকজনের সংস্কৃতি হুমকির সম্মুখীন হতে পারে বলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে পরিষদ।
৫.২০১০ থেকে ২০১৭ এই সাত বছরে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মুনাফা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। স্থায়ী আমানত বেড়ে হয়েছে চারগুণ অথচ তা অচল স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়নে ব্যয় না করে ১৮০ কোটি এফডিআর সহ বিভিন্ন লাভজনক স্কিনে বিনিয়োগ করেছে।
৬.বেসরকারি অপারেটররা অবকাঠামো তৈরি করে স্থলবন্দর চালানো এবং এর বিনিময়ে আয়ের একটি অংশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার কথা অথচ এদের তথা বেসরকারি অপারেটরের কাছে বকেয়া প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।