Get on Google Play

বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস এবং মানবন্টন ইত্যাদি
#2044
সামনে ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। ৪৬৫টি সাধারণ ও ১৪৩৮টি কারিগরি/প্রফেশনাল ক্যাডারে মোট ১৯০৩টি পদের বিপরীতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২০২৭৭ জন। বুঝতেই পারছেন, পরীক্ষা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।

প্রিলিতে ২০০ নম্বরের মধ্যে ১২০ পেলেন নাকি ১৮০ পেলেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ ক্যাডার বণ্টনের হিসাবে প্রিলিমিনারির নম্বর যোগ হবে না। লিখিত পরীক্ষায় যত ভালো করতে পারবেন, ক্যাডার পাওয়ার দৌড়ে তত এগিয়ে থাকবেন। এলোমেলোভাবে সারা দিন পড়াশোনা করে এ পরীক্ষায় ভালো নম্বর তোলা যাবে না। জেনে-বুঝে গুছিয়ে পড়তে হবে।

বাংলা-২০০ নম্বরের মধ্যে প্রথম পত্রের ১০০ নম্বর মূলত ব্যাকরণভিত্তিক প্রশ্ন, ভাবসম্প্রসারণ, সারাংশ বা সারমর্ম ও সাহিত্য বিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে। বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য, শুদ্ধিকরণসহ ব্যাকরণভিত্তিক প্রশ্নগুলো নির্ভুল উত্তর করতে পারলে এই অংশে ৭৫ থেকে ৮৫ নম্বর পাওয়া যায়। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বড় লেখাগুলো (রচনা) তথ্যবহুল, যৌক্তিক ও গোছানো, উপস্থাপনা সুন্দর ও সঠিক হলে ৬৫-৭৫ নম্বর পাওয়া যায়। তবে বানান ও বাক্য শুদ্ধ হওয়া আবশ্যক।

ইংরেজিতে কমবেশি সবারই দুর্বলতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রামার, ট্রান্সলেশন, লেটার রাইটিং অংশগুলো ভালো করতে পারলে প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১০০-১১০ নম্বর পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ বিষয়াবলির দ্বিতীয় পত্রে ৭৫-৮৫ শতাংশ নম্বর তোলা কঠিন ব্যাপার নয়। এ বিষয়ে ভালো নম্বর তুলতে বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকতে হবে। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো দাগিয়ে পড়তে হবে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রথম পত্রের লেখাগুলো তথ্যসমৃদ্ধ, যৌক্তিক ও বিশ্লেষণধর্মী হলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্তগুলো যথাসম্ভব ছক, চার্ট আকারে উপস্থাপন করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকেও ভালো নম্বর তোলা যায়। এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলোতে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।

গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ৫০ করে দুটি অংশ (মোট ১০০) থাকবে। গাণিতিক যুক্তি অংশে পাঁচটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। এখানে ৫০-এ ৫০ তোলা কঠিন কিছু নয়। মানসিক দক্ষতা অংশে ৫০টি নৈর্ব্যক্তিক থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ আর ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর করে কাটা যাবে। প্রস্তুতি ভালো হলে এখানে ৪৫-৪৮ পর্যন্ত তোলা সম্ভব। এর জন্য যথেষ্ট খাটতে হবে।

যারা বিজ্ঞানের ছাত্র নন, তাদের অনেকেই বিসিএসের প্রশ্নপত্রের বিজ্ঞান অংশ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। আসলে বিসিএসে বিজ্ঞানের মৌলিক এবং খুব সাধারণ বিষয় থেকেই প্রশ্ন হয়। একটু মন দিয়ে পড়লে সহজেই আয়ত্ত করা যায়। বিজ্ঞানে প্রায়ই বিগত বছরগুলোর কিছু প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়। তাই বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখে সমাধান করতে পারলেই এ বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত নম্বর ওঠানো যাবে।
পাস মার্ক : লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে পাস মার্ক শতকরা ৫০। এক বা একাধিক বিষয়ে ৫০ শতাংশের কম নম্বর পেলেও সব বিষয়ে গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই পাস। অর্থাৎ মোট ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৪৫০ পেতে হবে।
তবে কথা হচ্ছে, লিখিত পরীক্ষায় ৪৫০-৫০০ নম্বর পেয়ে ভাইভা বোর্ড পর্যন্ত গেলেও বিসিএস ক্যাডার পদে সুপারিশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ক্যাডার পদে সুপারিশ পেতে হলে দরকার সমন্বিত প্রস্তুতি, নির্ধারিত টার্গেট এবং কঠোর পরিশ্রম।

ক্যাডার পছন্দের ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রিলিমিনারিতে কৃতকার্যদের তিন ভাগে ভাগ করা যায়—

১. সাধারণ ক্যাডার, ২. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার,

৩. সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডার।

► সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের মোট ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।

নম্বর বণ্টন : বাংলা-২০০, ইংরেজি-২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি-২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি-১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা-১০০, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-১০০।

► কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২০০ নম্বরসহ মোট ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলায় ২০০ নম্বরের জায়গায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১০০ এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে না।

► সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সাধারণ ক্যাডারের ৯০০ নম্বরের সঙ্গে পদসংশ্লিষ্ট (কারিগরি/পেশাগত) বিষয়ে ২০০ নম্বরসহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

রফিকুল ইসলাম
সহকারী পরিচালক
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ

সৌজন্য : কালের কণ্ঠ
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    971 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    16149 Views
    by tasnima
    0 Replies 
    225 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    100 Views
    by raihan
    0 Replies 
    475 Views
    by sajib

    Thanks for the information.

    Achieving the best SEO (Search Engine Optimization[…]

    Creating a website easily on WordPress is a popula[…]

    Creating a website on BigCommerce offers a seamles[…]