- Mon May 03, 2021 4:28 pm#7089
অশুদ্ধবাক্য : যেসব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।
শুদ্ধবাক্য : যেসব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাদের প্রত্যয় বলে।
অশুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষদের চিনি, যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।
শুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষকে চিনি যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।
অশুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তার মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।
শুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তাদের মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।
অশুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যে অন্যের ভালো দেখতে পারে না।
শুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না।
অশুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের খবর কী?
শুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর খবর কী?
অশুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকদের কথা বললেন, যারা রাজাকার।
শুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকের কথা বললেন, যারা রাজাকার।
অশুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
অশুদ্ধবাক্য : এটি সার্বজনীন ব্যাপার।
শুদ্ধবাক্য : এটি সর্বজনীন ব্যাপার।
অশুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অরো অনেকেই আছেন এই নাটকে।
শুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অনেকেই আছেন এই নাটকে।
নির্দেশকের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
‘টা/টি/খানা/খানি’ ব্যবহার করে শব্দকে নির্দিষ্ট করলে তার আগে ‘এই’ বা ‘ঐ’ ব্যবহার করা যাবে না। আবার গুলো বা গুলি বা গুলিন থেকে শুধু গুলো ব্যবহার করা যায়। আল্লাদিপনা বাদ দিয়ে টি’র ব্যবহার বেশি করা যেতে পারে।
অশুদ্ধবাক্য : ঐ লোকটি খুব সৎ।
শুদ্ধবাক্য : লোকটি খুব সৎ।
অশুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষটিকে চিনি।
শুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষকে চিনি। /আমি মানুষটিকে চিনি।
সন্ধির মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
সন্ধি শব্দ গঠনের শক্তিশালী মাধ্যম তবে সংস্কৃত ও সংস্কৃত শব্দে সন্ধি করতে হয়। সংস্কৃত ও বাংলা শব্দের সন্ধি হয় না। বাংলা ও বাংলা শব্দে সন্ধি না করে আলাদা লেখাই ভালো। উচ্চারণে সুবিধা করতে গিয়ে শব্দকে অশুদ্ধ করা ঠিক নয়। লেখা যায়: মিশি কালো>মিশকালো, নাতি বউ>নাতবউ, নাত জামাই> নাজ্জামাই, ঘোড়া দৌড়>ঘোড়দৌড়, পিছে মোড়া>পিছমোড়া ইত্যাদি লেখি। কিন্তু লেখা যাবে না: বচ্ছর, কুচ্ছিত, উচ্ছব, ঘোড়গাড়ি ইত্যাদি।
অশুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জাস্কর।
শুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জা কর বা লজ্জাজনক।
অশুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরাবস্থায় আছেন।
শুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরবস্থায় আছেন।
অশুদ্ধবাক্য : ইত্যাবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।
শুদ্ধবাক্য : ইত্যবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।
অশুদ্ধবাক্য : উল্লেখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।
শুদ্ধবাক্য : উল্লিখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।
অশুদ্ধবাক্য : ইতিমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
শুদ্ধবাক্য : ইতোমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
অশুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উৎসবের দিন। (ভুলটাই শুদ্ধ)
শুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উচ্ছবের দিন।
অশুদ্ধবাক্য : শরৎ চন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার।
শুদ্ধবাক্য : শরৎচন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার/শরচ্চন্দ্র নামে একজন প্রবন্ধকার আছে।
সমাসের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
সমাসবদ্ধ শব্দ হলে একশব্দে লিখতে হবে। অথবা মাঝে হাইফেন দিতে হবে। ও দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হলে শব্দ দুটি এ-বিভক্তিযুক্ত হতে হবে। সহ অর্থ বুঝালে ‘স্ব’ না বসে ‘স’ বসে। সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে সংস্কৃত শব্দের সমাস হয়। সমাসজাত শব্দ ও ব্যাসবাক্য একই সঙ্গে বসে না। সমাসবদ্ধ শব্দের বানানে শুধু মাঝের ঈ-কার ই-কার হয়। যেমন :
অশুদ্ধবাক্য : ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ও ভাতে’, এই কথা কবি বলেছেন।
শুদ্ধবাক্য : আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ও ভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।
/আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।
অশুদ্ধবাক্য : শহর ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।
শুদ্ধবাক্য : শহরে ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।
অশুদ্ধবাক্য : তিনি স্বসম্মানে হল ত্যাগ করলন।
শুদ্ধবাক্য : তিনি সসম্মানে হল ত্যাগ করলন।
শুদ্ধবাক্য : যেসব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাদের প্রত্যয় বলে।
অশুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষদের চিনি, যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।
শুদ্ধবাক্য : আমরা এমন কিছু মানুষকে চিনি যারা এখনও দেশের জন্য প্রাণ দেবে।
অশুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তার মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।
শুদ্ধবাক্য : ক্লাসে যে ১০ জন ছাত্র আছে তাদের মধ্যে ৮ জনই ভালো ছাত্র।
অশুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যে অন্যের ভালো দেখতে পারে না।
শুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না।
অশুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের খবর কী?
শুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর খবর কী?
অশুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকদের কথা বললেন, যারা রাজাকার।
শুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকের কথা বললেন, যারা রাজাকার।
অশুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
অশুদ্ধবাক্য : এটি সার্বজনীন ব্যাপার।
শুদ্ধবাক্য : এটি সর্বজনীন ব্যাপার।
অশুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অরো অনেকেই আছেন এই নাটকে।
শুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অনেকেই আছেন এই নাটকে।
নির্দেশকের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
‘টা/টি/খানা/খানি’ ব্যবহার করে শব্দকে নির্দিষ্ট করলে তার আগে ‘এই’ বা ‘ঐ’ ব্যবহার করা যাবে না। আবার গুলো বা গুলি বা গুলিন থেকে শুধু গুলো ব্যবহার করা যায়। আল্লাদিপনা বাদ দিয়ে টি’র ব্যবহার বেশি করা যেতে পারে।
অশুদ্ধবাক্য : ঐ লোকটি খুব সৎ।
শুদ্ধবাক্য : লোকটি খুব সৎ।
অশুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষটিকে চিনি।
শুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষকে চিনি। /আমি মানুষটিকে চিনি।
সন্ধির মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
সন্ধি শব্দ গঠনের শক্তিশালী মাধ্যম তবে সংস্কৃত ও সংস্কৃত শব্দে সন্ধি করতে হয়। সংস্কৃত ও বাংলা শব্দের সন্ধি হয় না। বাংলা ও বাংলা শব্দে সন্ধি না করে আলাদা লেখাই ভালো। উচ্চারণে সুবিধা করতে গিয়ে শব্দকে অশুদ্ধ করা ঠিক নয়। লেখা যায়: মিশি কালো>মিশকালো, নাতি বউ>নাতবউ, নাত জামাই> নাজ্জামাই, ঘোড়া দৌড়>ঘোড়দৌড়, পিছে মোড়া>পিছমোড়া ইত্যাদি লেখি। কিন্তু লেখা যাবে না: বচ্ছর, কুচ্ছিত, উচ্ছব, ঘোড়গাড়ি ইত্যাদি।
অশুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জাস্কর।
শুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জা কর বা লজ্জাজনক।
অশুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরাবস্থায় আছেন।
শুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরবস্থায় আছেন।
অশুদ্ধবাক্য : ইত্যাবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।
শুদ্ধবাক্য : ইত্যবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।
অশুদ্ধবাক্য : উল্লেখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।
শুদ্ধবাক্য : উল্লিখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।
অশুদ্ধবাক্য : ইতিমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
শুদ্ধবাক্য : ইতোমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
অশুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উৎসবের দিন। (ভুলটাই শুদ্ধ)
শুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উচ্ছবের দিন।
অশুদ্ধবাক্য : শরৎ চন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার।
শুদ্ধবাক্য : শরৎচন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার/শরচ্চন্দ্র নামে একজন প্রবন্ধকার আছে।
সমাসের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
সমাসবদ্ধ শব্দ হলে একশব্দে লিখতে হবে। অথবা মাঝে হাইফেন দিতে হবে। ও দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হলে শব্দ দুটি এ-বিভক্তিযুক্ত হতে হবে। সহ অর্থ বুঝালে ‘স্ব’ না বসে ‘স’ বসে। সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে সংস্কৃত শব্দের সমাস হয়। সমাসজাত শব্দ ও ব্যাসবাক্য একই সঙ্গে বসে না। সমাসবদ্ধ শব্দের বানানে শুধু মাঝের ঈ-কার ই-কার হয়। যেমন :
অশুদ্ধবাক্য : ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ও ভাতে’, এই কথা কবি বলেছেন।
শুদ্ধবাক্য : আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ও ভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।
/আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।
অশুদ্ধবাক্য : শহর ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।
শুদ্ধবাক্য : শহরে ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।
অশুদ্ধবাক্য : তিনি স্বসম্মানে হল ত্যাগ করলন।
শুদ্ধবাক্য : তিনি সসম্মানে হল ত্যাগ করলন।