Get on Google Play

আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
#3019
যুদ্ধ, মহামারি আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আন্তর্জাতিক সংকটে বিশ্ব কি করবে, সেই সিদ্ধান্তের ওপর বিশাল প্রভাব থাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের।

সুতরাং প্রতি চার বছর পরপর যখন নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসে, তখন সেই নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি অনেক আগ্রহ থাকে। কিন্তু নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি অনেকে ঠিকভাবে বুঝতে পারেন না।

সুতরাং আপনি যদি প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পদ্ধতি বোঝার চেষ্টা করেন, এখানে সেটি সহজভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হল।

নির্বাচনটি কখন হবে আর প্রার্থী কারা?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবসময়েই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই বছরে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তেসরা নভেম্বর।
অন্য অনেক দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র একটু আলাদা এই কারণে যে, এদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা মূলত প্রধান দুইটি দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং প্রেসিডেন্ট এই দুইটি দলের যেকোনো একটি থেকে নির্বাচিত হন।
রিপাবলিকান পার্টি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল এবং এই বছর তাদের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আশা করছেন, নির্বাচনে জিতে আরো চার বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
রিপাবলিকান পার্টি আরও একটি নামেও পরিচিত। তা হলো জিওপি বা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। সাম্প্রতিক সময়ে কম ট্যাক্স হার, বন্দুক রাখার অধিকার এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
ডেমোক্র্যাট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে উদারনীতির রাজনৈতিক দল আর এই বছর তাদের প্রার্থী হলেন জো বাইডেন। অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ বারাক ওবামার সময় ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে আট বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া অন্যান্য ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো- যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রীন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টিও কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে।

কীভাবে বিজয়ী নির্ধারিত হয়?
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েও একজন বিজয়ী নাও হতে পারেন, যেমনটা ঘটেছে ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের ক্ষেত্রে।
এখানে প্রার্থীদের ইলেক্টোরাল কলেজের সংখ্যাধিক্য ভোট পেতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার বিচারে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে।
সব মিলিয়ে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। ফলে বিজয়ী প্রার্থীকে অন্তত ২৭০ বা তার বেশি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে।
এর মানে দাঁড়ায়, যখন কেউ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তিনি আসলে জাতীয়ভাবে ভোট দেয়ার বদলে বরং স্থানীয় বা রাজ্যের ইলেক্টোরাল কলেজ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন।
দুইটি বাদে অন্য সবগুলো স্টেটের আইন অনুযায়ী, যে প্রার্থী সর্বাধিক ভোট পাবেন, ওই স্টেটের সব ইলেক্টোরাল ভোট তার পক্ষে যাবে।
বেশিরভাগ স্টেটের ভোটাররা উভয় দলের প্রার্থীদের প্রতি দোদুল্যমাণ থাকে। ফলে প্রার্থীদের এসব স্টেটের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হয়, যেখানে তাদের যেকোনো জনই বিজয়ী হতে পারে। এসব স্টেটকে বলা হয় 'যুদ্ধক্ষেত্র'।

কারা ভোট দিতে পারেন এবং কীভাবে ভোট দেন?
আঠারো বছরের ঊর্ধ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়া যায়।
তবে অনেকগুলো স্টেটে আইন রয়েছে যেখানে ভোট দেয়ার আগে তাদের নিজেদের পরিচয়ের প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র দেখাতে হয়।
মূলত রিপাবলিকরা এই আইন করেছে যারা বলছেন, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে এটি একটি রক্ষাকবচ। তবে ডেমোক্র্যাটরা একে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছে।
কারণ অনেক সময় গরিব, সংখ্যালঘু ভোটারদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয় শনাক্তকরণ কাগজপত্র থাকে না।
বেশিরভাগ ভোটার নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। তবে বিকল্প পদ্ধতি ভোট দেয়ার প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ছে। ২০১৬ সালে ২১ শতাংশ ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মানুষ কীভাবে ভোট দেবে, এবার সেটা একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।
অনেক রাজনীতিবিদ আরো বিস্তৃতভাবে পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের জন্য আহবান জানিয়েছেন, যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এর ফলে বেশি জাল ভোটের সৃষ্টি হতে পারে- যদিও এই বক্তব্যের পক্ষে সামান্যই তথ্যপ্রমাণ আছে।

নির্বাচনটা কি শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে?
না, তা নয়। যদিও সবার মনোযোগ থাকবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম জো বাইডেনের ওপর। কিন্তু ভোট দেয়ার সময় ভোটাররা কংগ্রেসের নতুন সদস্যদেরও নির্বাচিত করবেন।
হাউজের এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ডেমোক্র্যাটরা, সেটা তারা ধরে রাখতে চাইবেন, পাশাপাশি সিনেটের নিয়ন্ত্রণও নিতে চাইবেন।
যদি উভয় চেম্বারে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে, তাহলে তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দেয়া বা দেরি করিয়ে দিতে পারবেন- যদি মি. ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হন।
প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনে এই বছর নির্বাচন হবে। সেই সঙ্গে ৩৩টি সিনেট আসনেও ভোট হবে।

ফলাফল কখন পাওয়া যাবে?
সবগুলো ভোট গণনা শেষ হতে বেশ কয়েকদিন লেগে যেতে পারে। তবে নির্বাচনের পরের দিন সকালেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন।
২০১৬ সালে ভোর রাত তিনটায় নিজের যুব সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিজয়ীর ভাষণ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই বছরে হয়তো সবাইকে চূড়ান্ত ফলের জন্য আরো বেশি অপেক্ষা করতে হবে, হয়তো কয়েকদিন, এমনকি হয়তো সপ্তাহ- কারণ পোস্টাল ব্যালটের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।
সর্বশেষ ২০০০ সালে ফলাফল পেতে দেরি হয়েছিল। প্রায় একমাস পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিদ্ধান্ত আসে।

বিজয়ী কখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন?
জো বাইডেন যদি বিজয়ী হন, তাহলেও তিনি সঙ্গে সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বদলে দায়িত্ব পাবেন না। কারণ নতুন নেতার জন্য মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাই ও পরিকল্পনা তৈরির জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় রয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন ২০শে জানুয়ারি, যেটি অভিষেক অনুষ্ঠান নামেই বেশি পরিচিত। ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ের বাইরে এই অনুষ্ঠান হবে।
ওই অনুষ্ঠানের পর নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং তার চার বছরের দায়িত্বভার শুরু করবেন।

Collected
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    237 Views
    by raihan
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]